বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:১৯ অপরাহ্ন
আজকের দিগন্ত অনলাইন ডেস্কঃ— একুশে পদকজয়ী কিংবদন্তী কণ্ঠশিল্পী শাহনাজ রহমতুল্লাহ আর নেই (ইন্নানিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। শনিবার (২৩ মার্চ) দিনগত রাত ১টায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা গেছেন। সংগীত পরিচালক শওকত আলী ইমন ও গীতিকার-গায়ক শফিক তুহিন জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শওকত আলী ইমন জানান, ‘আমি একটু আগেই খবরটা পেলাম। হার্ট অ্যাটাকে তার মৃত্যু হয়েছে। বাসাতেই ছিলেন। উনার মৃত্যু একটা অধ্যায়ের সমাপ্তি টেনে দিল। তার জন্য দোয়া চাই সবার কাছে।’
একুশে পদকজয়ী শাহনাজ রহমতুল্লাহর জন্ম ১৯৫২ সালের ২ জানুয়ারি। তার বাবা এম ফজলুল হক এবং মা আসিয়া হক। মায়ের হাতেই ছোটবেলায় শাহনাজের গানের হাতেখড়ি।
মাত্র ১১ বছর বয়সে রেডিও এবং চলচ্চিত্রের গানে তার যাত্রা শুরু হয় ১৯৬৩ সালে। পাকিস্তানে থাকার সুবাদে করাচি টিভিসহ উর্দু ছবিতেও গান করেছেন। গান শিখেছেন গজল সম্রাট মেহেদী হাসানের কাছে। পাকিস্তান আমলে রেডিওতে তার নাম বলা হতো শাহনাজ বেগম।
১৯৬৪ সালে টিভিতে প্রথম গান করেন। সে হিসাবে সংগীত শিল্পী হিসাবে তার পঞ্চাশ বছর পূর্ণ হয় ২০১৪ সালে। দীর্ঘ পঞ্চাশ বছরের ক্যারিয়ারে ‘এক নদী রক্ত পেরিয়ে’, ‘জয় বাংলা বাংলার জয়’, ‘একবার যেতে দে না আমার ছোট্ট সোনার গাঁয়’, ‘একতারা তুই দেশের কথা বলরে এবার বল’, ‘প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ’সহ অসংখ্য কালজয়ী গান গেয়েছেন তিনি।
বিবিসি এক জরিপে সর্বকালের সেরা কুড়িটি বাংলা গানের তালিকায় তার গাওয়া চারটি গান রয়েছে। বছর সাতেক আগে হঠাৎ গান ছেড়ে ধর্ম-কর্মে মনোযোগী হন কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী শাহনাজ রহমতুল্লাহ। বাইরে আসতেন না খুব একটা। নামাজ-কোরআনের সঙ্গেই কেটেছে তার জীবনের শেষ দিনগুলো।
শাহনাজ রহমতুল্লাহর মেয়ে সিনথিয়া থাকেন লন্ডনে। আর একমাত্র ছেলে ফয়সাল যুক্তরাষ্ট্রের এক ইউনিভার্সিটি থেকে এমবিএ করে এখন কানাডা প্রবাসী। তিনি রাজধানীর বারিধারা বাসায় থাকতেন। তার বড় ভাই সুরকার আনোয়ার পারভেজ ও ছোট ভাই প্রয়াত চিত্রনায়ক জাফর ইকবাল।
আমরা জনতার সাথে......“আজকের দিগন্ত ডট কম”
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত “আজকের দিগন্ত ডট কম”। অনলাইন নিউজ পোর্টালটি বাংলাদেশ তথ্য মন্ত্রনালয়ে জাতীয় নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন।
Leave a Reply